নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা, সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘ যানজট, উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন বিভিন্ন কাজে আসছেন মোগরাপাড়া চৌরাস্তায়। কেউ বাজারে যাচ্ছেন কেউ যাচ্ছেন খাবার দোকানে, কেউ আবার যাচ্ছেন ইলেক্ট্রনিকস, মোবাইল মার্কেটসহ অন্যান্য দোকানে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তার চিত্র দেখে মনে হয় করোনার কোন প্রভাব নেই সোনারগাঁয়ে। নেই লক ডাউনের কোন নমুনা। জায়গায় জায়গায় ও মার্কেটের সামনে ছিল লোকজনের ঝটলা। লোকজনকে ঘরে থাকার জন্য আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর নেই কোন তৎপরতা।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ইত্যাদি এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। অসামরিক প্রশাসন, সশন্ত্র বাহিনী ও আনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে। এর পর থেকে কঠোর হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
লক ডাউনের প্রথম দিকে আইনশৃঙ্খলার কারণে কঠোরতার কারণে কিছুটা মানলেও দিনে দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কমে যাওয়ায় দিনে দিনে বাড়ছে সাধারন মানুষের আনাগোনা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ঘুরে দেখা গেছে, মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্র্যান্ডট্যাংক রোডে ছিল যানজট। সকাল থেকে ছিল সকল ধরনের পরিবহনের উপস্থিতি। বাজার ও অন্যান্য কাছে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসছে বাজারে। মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজারে কাঁচাবাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। যেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাতো দুরের কথা একে অপরের ঘাঁড়ের উপর দাড়িয়ে বাজার সদাই করছেন। সরকার খাদ্যদ্রব্য ঔষধসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার কথা বললেও বাজারের বাহিরে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রকারের দোকান নিয়ে বসেছে হকাররা। এছাড়া কয়েকটি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেটের মেইন গেইট সামান্য খোলা রেখে ভেতরে দোকান খুলে ব্যবসা চালু রেখেছেন। এতে সরকারের দেয়া লক ডাউন ভেস্তে গেছে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। করোনা মোকাবেলায় লক ডাউন আরো জোড়দার করে তাদের তৎপরতা ও মনিটরিং বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, সারা সোনারগাঁয়ের অবস্থা একই। কোথায় মানুষ কথা শুনছেনা আবার কাউকে কিছু বলাও যাচ্ছেনা। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে থেকে বাজারগুলো বড় জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। তারপর মানুষ যদি করোনার ভয়াবহতা সর্ম্পকে জেনেও স্বাভাবিক মনে করে তাহলে কি করার আছে। তারপর আমরা মানুষকে বুঝাতে চাচ্ছি দেখি কি করা যায়।